ফলের রস বিক্রি করে সংসার চালাচ্ছেন কার্গিলের বীর সেনা
যুদ্ধের সময় খোঁজ খবর তো আমারা সবাই কমবেশি রাখি। অনেক শহীদ সেনার ছবিও সোশাল মিডিয়াতে দিয়ে RIP লিখে পোষ্ট করি। কিন্তু তার কিছুদিন পর তারা চাপা পরে যায় আমাদের রোজকার অন্যান্য অনেক মশলাদার খবরের ভিড়ে। কেউ একবারও ফিরেও দেখিনা। আসলে দেখতে ভুলে যাই। কোন আহত সেনাকে কতটাকা ক্ষতিপূরন দেওয়া হবে, কোন শহীদের পরিবারে কাকে চাকরী দেওয়া হবে বা কতটা জমি দেওয়া হবে তা ওই সাময়িক নিউজফিডেই থেকে যায়।
1999 এর কারগিলের যুদ্ধ,আহত হয়েছিলেন অনেক সেনা, শহিদও হয়েছেন অনেক বীর। তৎকালিন কেন্দ্র সরকার তাদের জন্য অনেক ক্ষতিপূরনের ঘোষনাও করেছিলেন। কাউকে চাকরী, তো কাউকে জমি, কাউকে নগদ টাকা, আবার কাউকে বা পেট্রোল পাম্প দেবার ভুড়িভুড়ি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কিন্তু ওই ঘোষনাগুলো ঘোষনা হয়েই রয়ে যায়। জটে পড়ে আটকে যায় সেনাদের ক্ষতিপূরনের প্রতিশ্রুতি। বহু সেনাই হাতে পাননি তাদের প্রাপ্যটুকু। তাহলে কীভাবে চলছে তাদের সংসার, এই দূর্মূল্যের বাজারে? কীভাবে দিন গুজরান হচ্ছে তাদের?
কার্গিলের যুদ্ধের বহু আহত সেনার একজন হলেন সতবীর সিং। তিনি খুব গুরুতর ভাবে আহত হয়েছিলেন যুদ্ধ ক্ষেত্রে। তাকেও ক্ষতিপূরন দেবার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল কেন্দ্র সরকার। ওনাকে জমি আর পেট্রোল পাম্প দেবার কথা ছিল ক্ষতিপূরন হিসাবে। কিন্তু পরে তা ফেরত নিয়ে নেওয়া হয়। জমির উপর বিনিয়োগ ও শুরু করেছিলেন প্রাক্তন ভারতীয় সেনা সতবীর সিং। জটিলতার শুরু হয় তারপর থেকেই। ফেরত নিয়ে নেওয়া হয় তার জমি। এমনকি পেট্রোল পাম্প ও। জমি বাঁচাতে প্রাণপন লড়াই করেছেন সতবীর সিং। কিন্ত শেষ রক্ষা করতে পারেননি। ধরে রাখতে পারেননি তার প্রাপ্য অধিকার। পেট্রোল পাম্প এসেও ফিরে যায় তার হাত থেকে। স্ত্রী-কন্যা নিয়ে ৬ জনের পরিবার সতবীরের। তিনি জানিয়েছেন – সেনা ভাতা হিসাবে তার কাছে প্রতি বছর যে টাকা আসে তাতে সংসার চালানো দুষ্কর। জমি,পাম্প ফেরত পাবার আশায় তার জমানো টাকার অনেকটাই অনেকটা অংশই শেষ হয়ে যায় আইনি খরচাতে।
দ্বিতীয় রাজপুতানা রাইফেলের জওয়ান ছিলেন সতবীর সিং। ১৯৯৯ এর মে মাসের এক গভীর রাতে তিনি দেখতে পান পাকসেনারা ঢুকছে অাক্রমনের জন্য। কোনো রকম সময় খরচা না করেই তিনি হাই কমান্ডকে খবর দেন। সেই সময় তার উপর নির্দেশ আসে পাক সেনাদের নজর রাখার। নির্ভীক সেনা তার দায়িত্বে অটল। ৪৫ ফুট গর্তের নীচে থেকে পাক সেনাদের নজর রাখা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ছিল বলে জানিয়েছেন সতবীর সিং। তাই পরিস্থিতি যাতে হাতের বাইরে না যায়,তার জন্য হ্যান্ড গ্রেনেড ছোড়েন সতবীর। আবার বোফোর্স হামলাও চালাতে থাকে ভারতীয় সেনারা। সতবীরের সহসেনাদের কথায়,সেই হ্যান্ড গ্রেনেড সতবীরের হাতেই ফেটে যায় আর তারপর-ই ঞ্জান হারিয়ে ফেলেন সতবীর। তারা একথাও বলেন যে,গ্রেনেড ফাটার পরও সতবীর ৩০ টি বুলেট ছোড়েন পাক সেনাদের লক্ষ্য করে।
সেই ভয়াবহ রাতের কথা মনে পড়লেই এখনও সতবীরের চোখ ছলছল করে,গর্ব অনুভব করেন ভারতীয় সেনাবাহিনীর জন্য। সেদিন বহু লড়াই এর পর পাক সেনাদের হারাতে পেরেছিল তারা।
সতবীর স্পষ্ট ভাবেই জানাচ্ছেন –প্রতিটা দেশের সেনাদের একটাই লক্ষ্য থাকে,যে কোনো উপায়ে তাদের মাতৃভূমি রক্ষা করা। দেশের জন্য লড়াই এ প্রাণ হাতে নিয়ে সেনারা যুদ্ধক্ষেত্রে লড়বে,এটাই তো স্বাভাবিক। কিন্তু সেই দেশই আবার রাজনীতি করে লড়াই নিয়ে,আর সেই রাজনীতির কাঁটাতারেই আটকে যায় তাদের প্রাপ্য অধিকার ,আর ভেসে যায় তাদের সংসার,আপন জনেদের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা।
1999 এর কারগিলের যুদ্ধ,আহত হয়েছিলেন অনেক সেনা, শহিদও হয়েছেন অনেক বীর। তৎকালিন কেন্দ্র সরকার তাদের জন্য অনেক ক্ষতিপূরনের ঘোষনাও করেছিলেন। কাউকে চাকরী, তো কাউকে জমি, কাউকে নগদ টাকা, আবার কাউকে বা পেট্রোল পাম্প দেবার ভুড়িভুড়ি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কিন্তু ওই ঘোষনাগুলো ঘোষনা হয়েই রয়ে যায়। জটে পড়ে আটকে যায় সেনাদের ক্ষতিপূরনের প্রতিশ্রুতি। বহু সেনাই হাতে পাননি তাদের প্রাপ্যটুকু। তাহলে কীভাবে চলছে তাদের সংসার, এই দূর্মূল্যের বাজারে? কীভাবে দিন গুজরান হচ্ছে তাদের?
কার্গিলের যুদ্ধের বহু আহত সেনার একজন হলেন সতবীর সিং। তিনি খুব গুরুতর ভাবে আহত হয়েছিলেন যুদ্ধ ক্ষেত্রে। তাকেও ক্ষতিপূরন দেবার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল কেন্দ্র সরকার। ওনাকে জমি আর পেট্রোল পাম্প দেবার কথা ছিল ক্ষতিপূরন হিসাবে। কিন্তু পরে তা ফেরত নিয়ে নেওয়া হয়। জমির উপর বিনিয়োগ ও শুরু করেছিলেন প্রাক্তন ভারতীয় সেনা সতবীর সিং। জটিলতার শুরু হয় তারপর থেকেই। ফেরত নিয়ে নেওয়া হয় তার জমি। এমনকি পেট্রোল পাম্প ও। জমি বাঁচাতে প্রাণপন লড়াই করেছেন সতবীর সিং। কিন্ত শেষ রক্ষা করতে পারেননি। ধরে রাখতে পারেননি তার প্রাপ্য অধিকার। পেট্রোল পাম্প এসেও ফিরে যায় তার হাত থেকে। স্ত্রী-কন্যা নিয়ে ৬ জনের পরিবার সতবীরের। তিনি জানিয়েছেন – সেনা ভাতা হিসাবে তার কাছে প্রতি বছর যে টাকা আসে তাতে সংসার চালানো দুষ্কর। জমি,পাম্প ফেরত পাবার আশায় তার জমানো টাকার অনেকটাই অনেকটা অংশই শেষ হয়ে যায় আইনি খরচাতে।
দ্বিতীয় রাজপুতানা রাইফেলের জওয়ান ছিলেন সতবীর সিং। ১৯৯৯ এর মে মাসের এক গভীর রাতে তিনি দেখতে পান পাকসেনারা ঢুকছে অাক্রমনের জন্য। কোনো রকম সময় খরচা না করেই তিনি হাই কমান্ডকে খবর দেন। সেই সময় তার উপর নির্দেশ আসে পাক সেনাদের নজর রাখার। নির্ভীক সেনা তার দায়িত্বে অটল। ৪৫ ফুট গর্তের নীচে থেকে পাক সেনাদের নজর রাখা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ছিল বলে জানিয়েছেন সতবীর সিং। তাই পরিস্থিতি যাতে হাতের বাইরে না যায়,তার জন্য হ্যান্ড গ্রেনেড ছোড়েন সতবীর। আবার বোফোর্স হামলাও চালাতে থাকে ভারতীয় সেনারা। সতবীরের সহসেনাদের কথায়,সেই হ্যান্ড গ্রেনেড সতবীরের হাতেই ফেটে যায় আর তারপর-ই ঞ্জান হারিয়ে ফেলেন সতবীর। তারা একথাও বলেন যে,গ্রেনেড ফাটার পরও সতবীর ৩০ টি বুলেট ছোড়েন পাক সেনাদের লক্ষ্য করে।
সেই ভয়াবহ রাতের কথা মনে পড়লেই এখনও সতবীরের চোখ ছলছল করে,গর্ব অনুভব করেন ভারতীয় সেনাবাহিনীর জন্য। সেদিন বহু লড়াই এর পর পাক সেনাদের হারাতে পেরেছিল তারা।
সতবীর স্পষ্ট ভাবেই জানাচ্ছেন –প্রতিটা দেশের সেনাদের একটাই লক্ষ্য থাকে,যে কোনো উপায়ে তাদের মাতৃভূমি রক্ষা করা। দেশের জন্য লড়াই এ প্রাণ হাতে নিয়ে সেনারা যুদ্ধক্ষেত্রে লড়বে,এটাই তো স্বাভাবিক। কিন্তু সেই দেশই আবার রাজনীতি করে লড়াই নিয়ে,আর সেই রাজনীতির কাঁটাতারেই আটকে যায় তাদের প্রাপ্য অধিকার ,আর ভেসে যায় তাদের সংসার,আপন জনেদের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা।
১৮ হাজার টাকা মাসিক সেনা ভাতা হিসাব পেয়ে থাকেন সতবীর। কিন্তু সেই টাকায় ৬ টা পেট চালানো শুধু কঠিন নয়, একরকম অসম্ভবই। তবে এই লড়াই এও হেরে যাননি প্রাক্তন ভারতীয় সেনা সতবীর সিং। তিনি তার শেষ সঞ্চয় দিয়ে ফলের রসের দোকান খুলেছেন।
জীবনে এক নতুন চ্যালেঞ্জ। এখন তার ফলের দোকান বেশ জমজমাটি ভাবেই চলছে। সেনার পরিচয় ভুলে দোকানি দাদা বলেই পরিচিত হচ্ছেন। তবে আশাও ছাড়েননি তিনি। দোকানের পাশাপাশি চালিয়ে যাচ্ছেন জমি ফিরে পাবার আইনি লড়াই…আফটার অল উনি যে বীর যোদ্ধা…লড়াতে তো হবেই। এরকম বীর ভারতীয় সেনাদের কুর্নিশ জানাই..
রাজনীতি খুব বাজেচোদা জিনিস
ReplyDelete